কাজ এবং পারশ্রমিক

This page was last updated on: 2023-06-22

ন্যূনতমমজুরী

শ্রম আইন ২০০৬ ন্যূনতম মজুরী শব্দটি কে সংজ্ঞায়িত করা যায় না, বরং শিল্প অনুযায়ী ন্যূনতম মজুরী হার নির্ধারণের একটি পদ্ধতি স্থাপন করে থাকে। শিল্পের ভিত্তিতে সরকার দ্বারা মজুরী বোর্ডের সুপারিশে / উল্লেখিত নির্দেশে ন্যূনতম মজুরী হার নির্ধারণ করা হয়, ত্রিপক্ষীয় এই বিশেষ মজুরী বোর্ড শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩৮ ধারার অধিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুপারিশ করার ক্ষেত্রে এই মজুরী বোর্ড জীবন যাত্রার খরচ, জীবন যাত্রার মান, উৎপাদন ব্যয়, পণ্য মূল্য, ব্যবসায়িক দক্ষতা, মুদ্রাস্ফীতির হার, দেশ এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কারণসমূহ বিবেচনা করে থাকে। যদি উপরোক্ত বিষয়সমূহের কোন পরিবর্তন হয় (এক থেকে তিন বছরের মধ্যে), তবে ন্যূনতম মজুরী বোর্ড সেই সকল সুপারিশ সংশোধন করতে বাধ্য থাকবে।যে কোন শিল্পের ন্যূনতম মজুরী হার প্রতি পাঁচ বছর পরপর সরকার দ্বারা পুনরায় সংশোধন করা যেতে পারে।ন্যূনতম মজুরীর হার শিল্পের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয় এবং এটি সংশ্লিষ্ট সকল নিয়োগকর্তার জন্য প্রযোজ্য। নভেম্বর ২০১৩ এর হিসাব অনুযায়ী, পোশাক খাতে অদক্ষ শ্রমিকদের মাসিক ন্যূনতম মজুরী হার ৫,৩০০টাকা, যা পূর্বের মাসিক ৩০০০টাকা থেকে ৭৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্রমিকদের কে ন্যূনতম মজুরী প্রদানে ব্যর্থতা দণ্ডনীয় অপরাধ, যার জন্য এক বছরের কারাদণ্ড, ৫০০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয় শাস্তি দেওয়া হবে (সংশোধিত ২০১৩, শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১৩৮-১৪২,১৪৮-১৪৯, ২৮৯(১) অনুযায়ী)। 

নিয়মিতপারিশ্রমিক

মজুরী শব্দটি সকল ধরণের অর্থনৈতিক সুবিধা -বেতন, যেকোনো ধরণের বোনাস, অতিরিক্ত সময় কাজের জন্য পারিশ্রমিক, ছুটি বা অবসর, চাকরির শেষে বা চাকরি চুক্তির অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য সকল প্রদানযোগ্য পারিশ্রমিকের জন্য প্রযোজ্য। প্রত্যেক নিয়োগকর্তা তার দ্বারা নিয়োগকৃত সকল শ্রমিকের মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী। যদি কোন ঠিকাদারের / চুক্তিকারির অধিনে কর্মরত শ্রমিক বেতন না পেয়ে থাকে, তবে সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তা দ্বারা সেই মজুরী প্রদান করা আবশ্যক। মজুরীর প্রদানের সর্বোচ্চ সময়সীমা এক মাস। প্রত্যেক শ্রমিককে তার প্রাপ্য মজুরী কর্ম মেয়াদের শেষ ৭দিনের মধ্যে প্রদান করতে হবে।

কোন শ্রমিক যদি অবসরে যায় বা তার নিয়োগকর্তা দ্বারা ছাঁটাই, অপসারন, বরখাস্ত এবং অন্য কোন ভাবে চাকরিচ্যুত হয়ে থাকে, তাহলে চাকরির মেয়াদউত্তীর্ণ হওয়ার বা চাকরি মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০দিনের মধ্যে প্রদান করতে হবে। যেকোনো পারিশ্রমিক অবশ্যই আইনি প্রক্রিয়াতে চেক এবং কিছু ক্ষেত্রে শ্রমিক পক্ষ্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ইলেক্ট্রনিক ট্র্যান্সফার বা অন্য কোন ডিজিটাল মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। পারিশ্রমিক অবশ্যই কর্ম দিবসে পরিশোধ করতে হবে। শ্রম আইন ধারা ১২৫ অনুযায়ী কোন প্রকার অনুমোদিত সিদ্ধান্ত ছাড়া শ্রমিকের পারিশ্রমিক বিয়োগ করা যাবে না (ধারা ১২০-১২৫, শ্রম আইন ২০০৬, সংশোধিত ২০১৩)।

কাজএবংমজুরীনির্ধারণেরনিয়মাবলিঃ

  • বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, সংশোধিত ২০১৩ / Bangladesh Labour Act 2006, amended in 2013
Loading...