This page was last updated on:
2025-02-04
জোরপূর্বকএবংবাধ্যতামূলকশ্রমেনিষেধাজ্ঞা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জোরপূর্বক শ্রম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৪ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, “সকল প্রকার জোরপূর্বক শ্রম নিষিদ্ধ এবং যদি এই আইন কোন ক্ষেত্রে অমান্য করা হয় তাহলে তা বেআইনি এবং আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে”। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ধারা ৩৭৪ অনুযায়ী, "যে কোনো ব্যক্তি যদি অন্যকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শ্রম করতে বাধ্য করে, তবে তাকে এক বছরের জন্য কারাদণ্ড, জরিমানা অথবা উভয়ের শাস্তি দেওয়া হবে।" ২০১২ সালে প্রণীত "মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন"ও শ্রম শোষণের উদ্দেশ্যে মানব পাচারের জন্য শাস্তি প্রদান করে এবং কঠোর কারাদণ্ডের বিধান রাখে, যা ৫ বছরের কারাদণ্ড থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ন্যূনতম ৫০,০০০ টাকা জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে।
ইপিজেড শ্রম আইনের অধীনে, নিয়োগকর্তারা বল প্রয়োগ বা জবরদস্তি করে কোনও ব্যক্তিকে কোনো শিল্পের কাজে নিয়োগ করতে পারবেন না।
উৎসঃ বাংলাদেশের গণপ্রজাতন্ত্রী সংবিধান;৩৪ , ৩৭৪, দণ্ডবিধি ১৮৬০; ৩ এবং ৬, মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২; §১৭৬, বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯।
চাকরিপরিবর্তনেরস্বাধীনতাএবংচাকরিছাড়ারঅধিকার
বাংলাদেশের শ্রম আইনে এমন কোন ধারা নেই যা একজন শ্রমিককে তার কাজ পরিবর্তন বা ছাড়তে বাধা প্রদান করবে। সংবিধান অনুযায়ী, প্রতিটি নাগরিকের যে কোন আইনসঙ্গত পেশা বা কাজে প্রবেশ করার এবং যেকোনো বৈধ বাণিজ্য বা ব্যবসা পরিচালনা করার অধিকার আছে। একজন স্থায়ী শ্রমিক তার চুক্তি ভঙ্গ করতে পারে এবং ৬০দিনের একটি লিখিত নোটিশ প্রদান করে তার কাজের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে পারবে। একজন অস্থায়ী শ্রমিক যদি মাসিক মজুরীভুক্ত শ্রমিক হন, তবে তাকে ত্রিশ দিনের লিখিত নোটিশ দিয়ে বা অন্য শ্রমিকদের ক্ষেত্রে চৌদ্দ দিনের নোটিশ দিয়ে তার সেবা থেকে পদত্যাগ করতে হবে। যদি কোনো শ্রমিক তার চাকরি থেকে নোটিশ ছাড়াই পদত্যাগ করতে চান, তবে তিনি উপরোক্ত উল্লিখিত সময়ের জন্য নোটিশের পরিবর্তে নিয়োগকর্তাকে নোটিশের সম পরিমাণ অর্থ প্রদান করে পদত্যাগ করতে পারেন।
উৎসঃ বাংলাদেশের গণপ্রজাতন্ত্রী সংবিধান, ধারা ৪০; শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ২৭(১-৩)।
Inhumane Working Conditions
কর্মসংস্থানের সময় স্বাভাবিক কর্মঘণ্টার (সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা এবং দিনে ৮ ঘণ্টা) বাইরে বাড়ানো যেতে পারে। তবে, অতিরিক্ত কাজসহ মোট কাজের সময় কোনও সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টার বেশি এবং বছরে গড়ে ৫৬ ঘণ্টার বেশি হতে পারবে না। অর্থাৎ, অতিরিক্ত কাজের সর্বোচ্চ সীমা হলো প্রতিদিন ২ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ১২ ঘণ্টা। তবে, বছরে গড়ে অতিরিক্ত কাজের সময় সপ্তাহে ৮ ঘণ্টার বেশি হতে পারবে না।
এ সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, দয়া করে ক্ষতিপূরণ সম্পর্কিত বিভাগটি দেখুন।
উৎস: শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ১০০, ১০২, ১০৫, ১০৮, ১১১, ও ১১৩।
জোরপূর্বকশ্রমেরনিয়মাবলিঃ
-
বাংলাদেশের গণপ্রজাতন্ত্রী সংবিধান, ৪ নভেম্বর ১৯৭২, সর্বশেষ ২০১৮ সালে সংশোধিত / Constitution of the People's Republic of Bangladesh 4th November 1972, last amended in 2018
-
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ / Bangladesh Labour Act 2006
-
বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ / Bangladesh Labour Rules, 2015
-
মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ / Prevention and Suppression of Human Trafficking Act, 2012
-
বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯ / Bangladesh EPZ Labour Act 2019