ট্রেডইউনিয়ন

This page was last updated on: 2023-06-22

ইউনিয়নগঠনএবংযোগদানকরারস্বাধীনতা

বাংলাদেশের সংবিধানে সমিতি বা সংঘ গঠন করার অধিকার আছে। সংবিধানের ধারা ৩৮ অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের নৈতিকতা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা নিষেধ সাপেক্ষে সমিতি বা সংঘ গঠন করার অধিকার রয়েছে। শ্রম আইন ২০০৬ এর অধীনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিভিন্ন দিক রয়েছে। শ্রমিক এবং নিয়োগকর্তা উভয়েরই পূর্বের অনুমোদন ছাড়া নিজের পছন্দসই সংস্থা স্থাপন এবং যোগদান করার অধিকার আছে। ট্রেড ইউনিয়নদের তাদের নিজস্ব সংবিধান এবং নিয়মাবলি বিশ্লেষণ, পূর্ণ স্বাধীনতায় তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন, তাদের প্রশাসন এবং কার্যক্রম সংগঠন করা এবং কার্যক্রম প্রনয়ন করার অধিকার আছে। কোন ট্রেড ইউনিয়ন, তাদের সদস্য এবং সচিবের সাক্ষর নিয়ে, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারে। কোন শ্রমিক কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য আছে বা হতে চান অথবা অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্তরূপ সদস্য বা কর্মকর্তা হওয়ার জন্য প্ররোচিত করেন এই কারনে, অথবা কোন ট্রেড ইউনিয়নের গঠন, কার্যকলাপ বা তার প্রচারে অংশগ্রহন করে এই কারনে তাকে চাকরি হতে বরখাস্ত, ডিসচার্জ অথবা অপসারণ করা যাবে না অথবা তাকে কোন প্রকার ভয় প্রদর্শন করা যাবে না।  

(শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১৭৬-১৭৭, ১৯৫(ঘ), সংশোধিত ২০১৩, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ধারা ৩৮)   

যৌথদরকষাকষিরস্বাধীনতা

যৌথ দরকষাকষির বিধি শ্রম আইন ২০০৬ এর অধীনে ধারা ২০২ এর অন্তর্ভুক্ত।  যেক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে একটি মাত্র ট্রেড ইউনিয়ন থাকে সে ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য তা যৌথ দরকষাকষির প্রতিনিধি হিসেবে গন্য হবে। যেক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন থাকে সেক্ষেত্রে কোন ট্রেড ইউনিয়ন অথবা মালিক পক্ষ থেকে আবেদনের ভিত্তিতে শ্রম পরিচালক আবেদন পাওয়ার ৪ সপ্তাহের মধ্যে কোন ট্রেড ইউনিয়ন যৌথ দরকষাকষির প্রতিনিধি হবে, তা নির্ধারণের জন্য গোপন ভোটের ব্যবস্থা করবে। একবার ট্রেড ইউনিয়ন যৌথ দরকষাকষির প্রতিনিধি ঘোষণা করলে তা আগামি ২ বছরের জন্য থাকবে। কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তার যৌথ দরকষাকষির এজেন্ট সেই প্রতিষ্ঠানে যদি শ্রমিকের চাকরি না থাকে, চাকরির শর্তাবলি অথবা কাজের সাথে সম্পর্কিত বিষয়ে মালিকের সাথে দরকষাকষি করার, যেকোনো কাজে শ্রমিকের প্রতিনিধিত্ব করা, এই বিধান অনুযায়ী ধর্মঘটের নোটিশ দেওয়া এবং ঘোষণা করার, কোন কমিটিতে শ্রমিকের প্রতিনিধি কে মনোনীত করা, আইন অনুযায়ী তহবিল গঠন এবং চুক্তি গঠন করা  ইত্যাদি সব কাজ করে থাকে।

(শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ২০২, সংশোধিত ২০১৩)

ধর্মঘটকরারঅধিকার

শ্রম আইন অনুযায়ী, শ্রমিকদের ধর্মঘট করার অধিকার আছে, শর্তসাপেক্ষে যে পূর্বে বিভিন্ন শর্তের সাথে ৬৭%(দুই শতাংশ) ধর্মঘট করার জন্য ইউনিয়ন সদস্যদের মতামত প্রয়োজন।  যদি কোন ধর্মঘট না লক-আউট ঘটে থাকে,তবে এই ধরনের বিভাদ মীমাংসা করার জন্য শ্রম আদলতে আপিল করতে পারে।  ৩০ দিনের বেশি দীর্ঘ স্থায়ী কোন ধর্মঘট সরকার দ্বারা নিষিদ্ধ হতে পারে এবং এই ক্ষেত্রে শ্রম আদালতকে বিষয়টি হস্তান্তর করা যেতে পারে। জনউপযোগ সেবার ক্ষেত্রে, সরকার যদি চায় তবে, লিখিত আদেশ দ্বারা ধর্মঘট শুরু আগে বা পরে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে।  

যদি কোন প্রতিষ্ঠান নতুন স্থাপিত হয় বা বিদেশি মালিকানাধিন হয়, অথবা বিদেশি সহযোগিতায় স্থাপিত তা হলে, এইরূপ প্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরু হওয়ার পরবর্তী ৩ বছর সময় পর্যন্ত ধর্মঘট নিষিদ্ধ থাক্লবে। আইনি ধর্মঘটের সময় যদি নিয়োগকর্তা নতুন করে শ্রমিককে নিয়োগ করে তবে তাকে অন্যায্য অনুশীলন হিসেবে গন্য করা হবে, তবে ব্যতিক্রম ক্ষেত্রে, যদি নিয়োগকর্তা মনে করে যে কাজ সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে গেলে যন্ত্রপাতি বা প্রতিষ্ঠানের বিশাল ক্ষতি হবে তখন তিনি কর্মস্থলে অস্থায়ী শ্রমিক বা সীমিত সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগের অনুমতি দিতে পারেন।

অবৈধ ধর্মঘট আইনি ভাবে নিষিদ্ধ এবং কোন শ্রমিক যদি বেআইনি ধর্মঘট শুরু করে, বা চালিয়ে যায় বা তাকে অগ্রসর করার জন্য কাজ করে তবে তাকে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ৫০০০টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

(শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১৯৫ (৮), ২১১ এবং ২৯৪,)

ট্রেডইউনিয়নেরনিয়মাবলিঃ

  • বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, সংশোধিত ২০১৩ / Bangladesh Labour Act 2006, amended in 2013
  • গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান ৪ঠা নভেম্বর ১৯৭২,সংশোধিত ২০১১ / Constitution of the People's Republic of Bangladesh 4th November 1972, last amended in 2011
Loading...