কোনক্ষতিকরকাজনয়
কোন মালিক কোন নারী শ্রমিককে এমন কাজ করতে নিযুক্ত করতে পারবেন না যা দুষ্কর, শ্রমসাধ্য, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার প্রয়োজন অথবা স্বাস্থ্যহানিকর হতে পারে, শর্ত থাকে যে, যদি ওই নারী আগামী দশ সপ্তাহের মধ্যে সন্তান প্রসব করবেন; অথবা (খ) মালিক জানেন যে, ওই নারী শ্রমিক পূর্ববর্তী দশ সপ্তাহে সন্তান প্রসব করেছেন।
এছাড়াও EPZ শ্রম আইন ২০১৯ এ প্রসবের আগে ও পরে নারীদের সুরক্ষার জন্য অনুরূপ বিধানবলী পাওয়া যায়।
চা বাগানের শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে, তারা অপেক্ষাকৃত হালকা কাজ করতে পারবে (উপরে উল্লেখিত গর্ভকালীন সময়ের পূর্ববর্তী ১০ সপ্তাহ এবং পরবর্তী ১০ সপ্তাহ) যদি তা চা বাগানের / এস্টেট এর চিকিৎসক দ্বারা প্রত্যয়িত করা হয়ে থাকে। এই ধরণের কাজের জন্য প্রসূতি কল্যাণ সুবিধার অধিকার ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারবে না। প্রসূতি মা এবং শিশুদের জন্য (৬ বছরের নিচে) ডে-কেয়ার সেবার ব্যবস্থা করতে হবে মালিকের। কোন নারী শ্রমিককে তার অনুমতি ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠানে রাত ১০টা হতে সকাল ৬টার মধ্যে কাজ করতে বলা যাবে না (প্রসূতি, নতুন মা এবং অন্য যে কোন নারী শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।
এই আইনের আবশ্যকতা অনুযায়ী নিয়োগকর্তা কোন গর্ভবতী নারী শ্রমিককে সরকার দ্বারা ঘোষিত কোন বিপজ্জনক কাজে বা গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক এমন কোন কাজে নিয়োগ করতে পারবেন না। নিয়োগকর্তাদের জন্য আরও যা আবশ্যক তা হল, গর্ভবতী নারী শ্রমিকদের সেই স্থানে বদলি করে দেওয়া যেখানে কোন বিপদ নেই এবং তাকে কাজের সময় লিফট (সিঁড়ির ব্যবহারের পরিবর্তে) ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া।
EPZ শ্রম আইন ২০১৯-এ অনুরূপ বিধানবলী পাওয়া যায়।
উৎস: শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪৫ (৩), ৯৪ এবং ১০৯; বাংলাদেশের EPZ শ্রম আইন ২০১৯-এর § ২৯(৩)
চাকরিচ্যুত/বরখাস্তহওয়াথেকেসুরক্ষা
একজন নারী শ্রমিকের চাকরিতে গর্ভাবস্থায় বা প্রসূতিকালীন ছুটির সময় বরাদ্দ থাকে। যদি কোন নারী শ্রমিককে সন্তান প্রসবের পূর্বের ৬ মাস এবং সন্তান প্রসবের পরবর্তী ৮ সপ্তাহ মেয়াদের মধ্যে চাকরি হতে ডিসচার্জ, বরখাস্ত বা ছাঁটাই করার জন্য অথবা তার চাকরি অন্যভাবে ছাঁটাই জন্য নিয়োগকর্তা দ্বারা কোন নোটিশ বা আদেশ প্রদান করে এবং সেই নোটিশের কোন যথাযথ কারণ না থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট নারী শ্রমিক প্রসূতিকালীন সময়ে যে সকল সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখে তা হতে বঞ্চিত হবে না।
প্রসূতিকালীন ছুটি চলাকালীন একজন নারী শ্রমিককে ছাঁটাই করা থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য অনুরূপ বিধানবলী EPZ শ্রম আইন ২০১৯ এ রয়েছে।
উৎস: শ্রম আইন ২০০৬-এর §৫০; বাংলাদেশের EPZ শ্রম আইন ২০১৯-এর §৩৪
একইপদেফেরতআসারঅধিকারঃ
শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী একই পদে পুনরায় বহাল হওয়ার কোন বিধান নেই। তবে শ্রম আইনের ধারা ৫০ অনুযায়ী বলা যায় যে, যেহেতু প্রসূতিকালীন ছুটির সময়ে একজন নারী শ্রমিকের চাকরি সুরক্ষিত থাকে, তাই একই পদে অথবা অন্য কোন পদে সে চাকরিতে পুনঃবহাল হতে পারবে।
উৎস: শ্রম আইন ২০০৬-এর §৫০।