পেনশনেরঅধিকার
সাধারণত বেসরকারি খাতে শ্রমিকদের অবসরকালীন সময় বলতে কিছু নাই কিন্তু অবসরকালীন সময়ে তাকে গ্রাচুইটি সুবিধা প্রদান করা হয়। আংশিক ভাবে দেশে বিদ্যমান চরম দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তির জন্য, সামাজিক কল্যান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৯৮ সাল থেকে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসুচীর অধীনে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হয়। এই বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য একজন গ্রাহককে অবশ্যই ৬৫ বছর (মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬২বছর) পর্যন্ত কাজ করতে হবে এবং তাদের বার্ষিক আয় ১০০০০ টাকার নিচে হতে হবে। যেসকল শ্রমিক শারীরিক এবং মানসিকভাবে অক্ষম বা প্রতিবন্ধীদের, গৃহহীন, জমিহীন, মুক্তিযোদ্ধা, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত, অবিবাহিত এবং পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন তাদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। বয়স্কভাতা পাওয়ার প্রার্থীগণ কোন সময় সীমা ছাড়া প্রতি ত্রৈমাসিকে ৫০০ টাকা করে ভাতা পাবে।
(শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ২৮, সংশোধিত ২০১০)
নির্ভরশীল/পোষ্যসুবিধা
যদি কোন শ্রমিক ধারাবাহিকভাবে অন্তত ২বছর কাজ করার মাঝে মৃত্যুবরণ করে, তাহলে নিয়োগকর্তা শ্রমিকের মনোনীত ব্যক্তি অথবা মনোনীত ব্যক্তির অবর্তমানে তার পোষকে স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য ৩০ দিনের মজুরি এবং কারখানাতে কাজ করার সময় বা প্রতিবছর সেবাপ্রদান কালে বা অন্য কোন অংশে ৬ মাসের অধিক কাজ করার সময় দুর্ঘটনার কারনে মৃত্যুর জন্য ৪৫ দিনের মজুরির সমান ক্ষতিপূরণ বা গ্রাচুইটি, যেইটা অধিক হয়, তা প্রদান করতে হবে এবং মৃত শ্রমিক চাকরি থেকে অবসর গ্রহন করলে যে সুবিধাসমূহ পেয়ে থাকতেন, তাও এই পারিশ্রমিকের অন্তর্ভুক্ত।
(শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১৯, সংশোধিত ২০১৩).