প্রসূতি এবং কাজ

This page was last updated on: 2025-02-04

প্রসূতিকালীনছুটি

যেকোন মহিলা শ্রমিকের ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রসূতিকালীন ছুটি নেওয়ার অধিকার আছে (৮ সপ্তাহ প্রাক গর্ভকালীন এবং ৮ সপ্তাহ পরবর্তী গর্ভকালীন পর্যন্ত পারিশ্রমিক সহ ছুটি দেওয়ার নিয়ম আছে)। একজন গর্ভবতী নারী শ্রমিককে তার শিশু জন্মদানের প্রত্যাশিত তারিখের ৮ সপ্তাহ পূর্বে বা প্রত্যাশিত তারিখের ৭ দিনের মধ্যে জন্মদান করেছেন তা জানিয়ে তার নিয়োগকর্তার কাছে মৌখিক বা লিখিত নোটিশ দিতে হবে। কোন মালিক তার প্রতিষ্ঠানে সজ্ঞানে কোন নারী শ্রমিককে তার সন্তান প্রসব তারিখের পরবর্তী ৮ সপ্তাহের মধ্যে কাজ করাতে পারবে না এবং কোন নারী নিজেও কোন প্রতিষ্ঠানে প্রসবের ৮ সপ্তাহের মধ্যে কোন প্রতিষ্ঠানে কাজের জন্য নিয়োগ নিতে পারবে না। গর্ভাবস্থায় তৈরি কোন অসুস্থতা বা জটিলতার জন্য কোন ধরণের ছুটির অধিকার নেই। একইভাবে একাধিক জন্মদানের ক্ষেত্রে প্রসূতিকালীন ছুটির কোন প্রসারন নেই। প্রসূতিকালীন ছুটির জন্য অনুরূপ বিধানবলী EPZ শ্রম আইন ২০১৯ এ রয়েছে।

অধিকন্তু, শ্রম আইন, ২০২২ এর সংশোধনী মোতাবেক, কোন নারী শ্রমিক যদি তার অনুমিত প্রসবের তারিখ থেকে পরবর্তী আট সপ্তাহের পরিকল্পিত সময়সূচির পরে প্রসব করেন, তাহলে সেই দিনগুলিকে প্রসব-উত্তর ছুটির সময়কালের মধ্যে ধরতে হবে। একজন নারী শ্রমিক তার প্রসবের পর অন্তত আট সপ্তাহ অবধি প্রসব-পরবর্তী প্রসূতিকালীন ছুটি নিতে পারেন, এমনকি তিনি প্রসবের আগে তার গর্ভবস্থার কথা না জানিয়ে থাকলেও।

দ্বিতীয়ত, পরিকল্পিত প্রসূতিকালীন ছুটির তারিখের আগে কোনো নারী শ্রমিকের যদি গর্ভপাত হয়ে যায়, তাহলে তিনি স্বাস্থ্যের কারণে চার সপ্তাহের ছুটি পাবার অধিকারী হবেন; তার মজুরী থেকে কোন অর্থ কর্তন করা যাবে না, এবং তার প্রাপ্য অন্য কোন ছুটির সাথে সেই ছুটির দিনগুলোর যোগ করা যাবে না। নতুন বিধিমালা মাতৃত্ব সুবিধার হিসাব নির্ধারণকেও স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছে এবং এই নিয়ম অনুসারে মাতৃত্ব সুবিধার পরিমাণ থেকে পেনশন তহবিলের অর্থ কর্তন করা যাবে।

উৎস: শ্রম আইন ২০০৬-এর § ৪৫ এবং ৪৭; SRO নং ২৮৪- আইন/২০২২, “বাংলাদেশের শ্রম আইন ২০১৫-র সংশোধনী”; বাংলাদেশের EPZ শ্রম আইন ২০১৯-এর §২৯ (১ এবং ২)

বেতন

শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী, একজন মহিলার ১৬ সপ্তাহের প্রসবকালীন ছুটির মজুরী তার পূর্ববর্তী দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক মজুরীর গড় হারে পাওয়ার অধিকার রাখে। একজন শ্রমিককে এজন্য তার নিয়োগকর্তার অধীনে সন্তান প্রসবের পূর্বে ন্যূনতম ৬ মাস কাজ করতে হবে। নিয়োগকর্তা মাতৃত্ব সুবিধা প্রদান করতে বাধ্য নয় যতক্ষণ না শ্রমিক একটি নিবন্ধিত চিকিৎসক দ্বারা স্বাক্ষরিত সনদ প্রদান করেন, যা তার প্রত্যাশিত প্রসবকাল বা প্রমাণ দেয় যে তিনি একটি শিশুকে জন্ম দিয়েছেন।উপরন্তু কোন নারী শ্রমিককে এই সকল সুবিধা প্রদান করা হবে না যদি প্রসবকালীন সময়ে তার পূর্বের দুই বা তার অধিক সন্তান জীবিত থাকে (যদিও সে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিনা মজুরীতে ছুটির অধিকার রাখে)। যেকোনো নারী শ্রমিক সম্ভাব্য প্রসব তারিখের পূর্বের ৮ সপ্তাহ এবং প্রসবের পরবর্তী ৮ সপ্তাহের মধ্যে প্রসূতিকালীন সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখে। একটি প্রতিষ্ঠানে প্রসূতিকালীন সুবিধা নিয়োগকর্তা দ্বারা প্রদান করা হয় এবং এটি প্রতিষ্ঠানের সকল নারী শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। প্রসূতিকালীন সুবিধা পাওয়ার অধিকারী কোন মহিলা সন্তান প্রসবকালে অথবা তার পরবর্তী ৮ সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুবরণ করলে, নিয়োগকর্তা, যদি সেই শিশুটি বেঁচে যায় সেই শিশুর তত্ত্বাবধানকারীকে এবং যদি শিশুটি জীবিত না থাকে তাহলে নারী শ্রমিক দ্বারা মনোনীত ব্যক্তিকে অথবা মনোনীত ব্যক্তি না থাকলে মৃত নারী শ্রমিকের আইনী প্রতিনিধিকে সেই প্রসুতিকালীন সুবিধা প্রদান করতে হবে। অবশ্য যদি কোন নারী শ্রমিক সন্তান জন্মদান করার পূর্বে মারা যায়, তাহলে, সেই নারী শ্রমিকের পূর্বের সময় থেকে মৃত্যুর তারিখ পর্যন্ত সুবিধা প্রদান করবে তবে ইতিমধ্যে প্রসূতিকালীন সুবিধা হিসেবে যা প্রদান করা হয়েছে নিয়োগকর্তা তা ফেরতযোগ্য নিতে পারবে না।

প্রসূতিকালীন ছুটির জন্য নারী শ্রমিকদের অর্থপ্রদান সংক্রান্ত অনুরূপ বিধানবলী EPZ শ্রম আইন ২০১৯ এ রয়েছে।

উৎস: শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪৬(১-২), ৪৭(৪-৫) এবং ৪৯; বাংলাদেশের EPZ শ্রম আইন ২০১৯-এর §৩০-৩৩।

বিনামুল্যেচিকিৎসাসেবা

শ্রম আইন ২০০৬-এ কোনো চিকিৎসা সুবিধার অধিকার নির্ধারণ করা হয়নি।

প্রসূতি এবং কাজের উপর বিধানসমূহঃ

  • বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ / Bangladesh Labour Act 2006
  • বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ / Bangladesh Labour Rules, 2015
  • বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯ / Bangladesh EPZ Labour Act 2019
  • SRO নং ২৮৪ আইন/২০২২ “বাংলাদেশের শ্রম আইন ২০১৫ এর সংশোধনী” / SRO No. 284- Law/2022, “Amendment of Bangladesh Labour Rule 2015”
Loading...