চাকরিতে নিরাপত্তা

This page was last updated on: 2023-06-22

যেকোনোনিয়োগকর্তাকেনতুনকোনকর্মীকেনিয়োগকরারপূর্বেনিয়োগপত্রএবংছবিসহএকটিপরিচয়পত্রপ্রদানকরতেহবে।

যেকোনো নিয়োগকর্তাকে নতুন কোন কর্মীকে নিয়োগ করার পূর্বে নিয়োগপত্র এবং ছবি সহ একটি পরিচয়পত্র প্রদান করতে হবে। 

পরবর্তীতে নিয়োগকর্তাকে সব শ্রমিককে একটি করে সার্ভিস বই প্রদান করতে হবে। সার্ভিস বইটিকে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী একটি নির্ধারিত মাপ এবং ফর্মে হতে হবে এবং শ্রমিকের একটি ছবি সংযোজিত থাকবে। এই সার্ভিস বইটি মূলত নিয়োগকর্তার কাছে থাকবে তবে প্রয়োজনে শ্রমিক নিজ দায়িত্বে এই বইটির একটি ডুপ্লিকেট কপি করে নিতে পারে।

এই সার্ভিস বই এ নিম্নলিখিত বিবরনসমূহ থাকবেঃ শ্রমিকের নাম, শ্রমিকের পিতা-মাতার নাম এবং ঠিকানা(প্রয়োজনে স্বামী বা স্ত্রীর নাম); জন্ম তারিখ, সনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ বিবরণ, যদি পূর্বে কোন নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ করে থাকে, তবে সেই ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা, চাকরির মেয়াদ, পেশা বা পদবি, মজুরী এবং ভাতা(যদি থেকে থাকে), ভোগকৃত ছুটি এবং শ্রমিকের ব্যবহার।  

নিয়োগকর্তাকে এই সার্ভিস বইটি চাকরিচুক্তি সমাপ্ত হয়ে গেলে শ্রমিকের কাছে হস্তান্তর করে দিতে হবে। এই সার্ভিস বইটি ছাড়া, নিয়োগকর্তাদেরকে নিয়মিত একটি রেজিস্টার বই বজায় রাখতে হবে যেখানে শ্রমিক সম্পর্কে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ থাকবে। 

স্থায়ী/নির্দিষ্টসময়েরচুক্তি

শ্রম আইন কোন নির্দিষ্ট সময়ের চুক্তির বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রন করে না বরং এটি শ্রমিকদেড় কে নিম্নলিখিত শ্রেণীতে বিভক্ত করেঃ

  • কোন স্থায়ী বা শিক্ষানবিশ পদের কর্মীর সাময়িক অনুপস্থিতিতে যদি কোন শ্রমিক কাজে নিযুক্ত হয়ে থাকে তবে তাকে বদলি কর্মী বলা হয়ে থাকে।
  • একটি শ্রমিককে সাময়িক শ্রমিক বলা হবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তাকে সাময়িক প্রকৃতির কাজের জন্য নিযুক্ত করা হয়ে থাকে।
  • একটি শ্রমিককে অস্থায়ী শ্রমিক বলা হবে যদি কোন প্রতিষ্ঠান তাকে অস্থায়ী প্রকৃতির এবং সম্ভাব্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হবে এই ধরণের কোন কাজের জন্য তাকে নিয়োগ করে থাকে।
  • একটি শ্রমিককে শিক্ষানবিশ শ্রমিক বলা হবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তাকে একটি স্থায়ী পদের জন্য আপাততভাবে এবং সেই প্রতিষ্ঠানে তার শিক্ষানবিশকাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
  • একটি প্রতিষ্ঠানে যদি কোন শ্রমিককে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে নিয়োগ করা হয় এবং প্রশিক্ষনকালে তাকে একটি ভাতা প্রদান করা হয় তবে তাকে শিক্ষাধীন শ্রমিক বলা হয়ে থাকে।
  • একজন শ্রমিককে স্থায়ী শ্রমিক বলা হবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তাকে স্থায়ী ভাবে নিযুক্ত করা হয়ে থাকে অথবা কোন প্রতিষ্ঠানে সেই শ্রমিক সন্তোষজনকভাবে তার শিক্ষানবিশকাল সম্পূর্ণ করে থাকে।
  • শুধুমাত্র একটি বিশেষ সময়ে বা ঋতুতে কাজ করে এমন শ্রমিককে মৌসুমি শ্রমিক বলা হয়।           

উপরে বর্ণিত সংজ্ঞা অনুযায়ী বলা যায় যে, অস্থায়ী প্রকৃতির কাজের জন্য, বদলী বা অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ দেওয়ার কারনসমূহ শ্রম আইনে বর্ণিত আছে, এবং এই কারণে অস্থায়ী কাজের জন্য নেওয়া কর্মী কোন স্থায়ী প্রকৃতির কাজ করতে পারবে না। 

শিক্ষানবিশকাল

শ্রম আইন অনুযায়ী, একজন শ্রমিকের শিক্ষানবিশকাল কেরানীসংক্রান্ত কাজে নিযুক্ত এমনদের জন্য ৬মাস এবং অন্যান্যদের ক্ষেত্রে ৩ মাস হয়ে থাকে।

যদি কোন দক্ষ শ্রমিকের কাজের মান এই ৩ মাস শিক্ষানবিশকালে নির্ণয় করা সম্ভব না হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে  তার শিক্ষানবিশকাল প্রয়োজনে আরও ৩ মাসের জন্য বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এমনকি যদি  চাকরি নিশ্চিতকরণের চিঠি নাও এসে থাকে, তারপরেও ৩ মাস বা তার অধিক সময় শিক্ষানবিশকাল সমাপ্ত করার পর, সেই শ্রমিককে অবশ্যই স্থায়ী হিসেবে গণ্য করতে হবে। যদি কোন শিক্ষানবিশের নিয়োগ বাতিল করা হয়, কিন্তু সে একই নিয়োগকর্তার অধীনে পরবর্তী ৩ বছরের মধ্যে কোন চাকরি পেয়ে থাকে, তাহলে পূর্বের সম্পন্ন করা শিক্ষানবিশকালের কারণে বর্তমানে অব্যহতি পেয়ে থাকবে। 

(শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৮-৯),সংশোধিত ২০১৩)

কর্মসংস্থানব্যবস্থারউপরশর্তাবলী

  • বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, সংশোধিত ২০১৩ / Bangladesh Labour Act 2006, amended in 2013
Loading...