চুক্তি এবং বাতিলকরণ

This page was last updated on: 2025-02-04

যেকোনোনিয়োগকর্তাকেনতুনকোনকর্মীকেনিয়োগকরারপূর্বেনিয়োগপত্রএবংছবিসহএকটিপরিচয়পত্রপ্রদানকরতেহবে।

যেকোনো নিয়োগকর্তা নতুন কোনো শ্রমিককে নিয়োগ করার পূর্বে নিয়োগপত্র এবং ছবিসহ একটি পরিচয়পত্র প্রদান করতে হবে।

পরবর্তীতে নিয়োগকর্তাকে সব শ্রমিককে একটি করে সার্ভিস বই প্রদান করতে হবে। সার্ভিস বইটিকে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী একটি নির্ধারিত মাপ এবং ফর্মে হতে হবে এবং শ্রমিকের একটি ছবি সংযোজিত থাকবে। এই সার্ভিস বইটি মূলত নিয়োগকর্তার কাছে থাকবে তবে শ্রমিক চাইলে নিজ খরচে এই বইটির একটি অনুলিপি করে নিতে পারে।

এই সার্ভিস বই এ নিম্নলিখিত বিবরণসমূহ থাকবেঃ শ্রমিকের নাম, শ্রমিকের পিতা-মাতার নাম এবং ঠিকানা (প্রয়োজনে স্বামী বা স্ত্রীর নাম); জন্ম তারিখ, যদি পূর্বে কোন নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ করে থাকে, তবে সেই ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা, চাকরির মেয়াদ, পেশা বা পদবি, মজুরী এবং ভাতা(যদি থেকে থাকে), ভোগকৃত ছুটি এবং শ্রমিকের ব্যবহার। অনুরূপ বিবরণ নিয়োগপত্রেও রয়েছে।

নিয়োগকর্তাকে এই সার্ভিস বইটি চাকরির চুক্তি সমাপ্ত হয়ে গেলে শ্রমিকের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। এই সার্ভিস বইটি ছাড়া, নিয়োগকর্তাদেরকে নিয়মিত একটি রেজিস্টার বই মেইন্টেইন করতে হবে যেখানে শ্রমিক সম্পর্কে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ থাকবে।

এছাড়াও নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, ও সার্ভিস বই (service book) সংক্রান্ত বিধানবলী EPZ শ্রম আইনেও রয়েছে।

উৎস: ধারা ৫, ৬(১), ৭ এবং ৯, শ্রম আইন ২০০৬; বাংলাদেশের শ্রম আইন, ২০১৫-র আইন ১৯-২০; বাংলাদেশের EPZ শ্রম আইন ২০১৯-এর § ৬-৭ ।

স্থায়ী/নির্দিষ্টসময়েরচুক্তি

শ্রম আইন কোন নির্দিষ্ট সময়ের চুক্তির বিষয়ক আলোচনা করেনা বরং এটি শ্রমিকদের কে নিম্নলিখিত শ্রেণীতে বিভক্ত করে:

  • কোন স্থায়ী বা শিক্ষানবিশ পদের শ্রমিকের সাময়িক অনুপস্থিতিতে যদি কোন শ্রমিক কাজে নিযুক্ত হয়ে থাকে তবে তাকে বদলি শ্রমিক বলা হয়ে থাকে।
  • একজন শ্রমিককে সাময়িক শ্রমিক বলা হবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তাকে সাময়িক প্রকৃতির কাজের জন্য নিযুক্ত করা হয়ে থাকে।
  • একজন শ্রমিককে অস্থায়ী শ্রমিক বলা হবে যদি কোন প্রতিষ্ঠান তাকে অস্থায়ী প্রকৃতির এবং সম্ভাব্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হবে এই ধরণের কোন কাজের জন্য তাকে নিয়োগ করে থাকে।
  • একজন শ্রমিককে শিক্ষানবিশ বলা হবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তাকে একটি স্থায়ী পদের জন্য আপাততভাবে এবং সেই প্রতিষ্ঠানে তার শিক্ষানবিশকাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
  • একটি প্রতিষ্ঠানে যদি কোন শ্রমিককে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে নিয়োগ করা হয় এবং প্রশিক্ষনকালে তাকে মজুরী দেয়া হয়না,একটি ভাতা প্রদান করা হয় তবে তাকে শিক্ষাধীন শ্রমিক বলা হয়ে থাকে।
  • একজন শ্রমিককে স্থায়ী শ্রমিক বলা হবে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে তাকে স্থায়ী ভাবে নিযুক্ত করা হয়ে থাকে অথবা কোন প্রতিষ্ঠানে সেই শ্রমিক সন্তোষজনকভাবে তার শিক্ষানবিশকাল সম্পূর্ণ করে থাকে।
  • শুধুমাত্র বছরের একটি বিশেষ সময়ে বা ঋতুতে কাজ করে এমন শ্রমিককে মৌসুমি শ্রমিক বলা হয়।

উপরে বর্ণিত সংজ্ঞা অনুযায়ী বলা যায় যে, অস্থায়ী প্রকৃতির কাজের জন্য, বদলী বা অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার কারণসমূহ শ্রম আইনে বর্ণিত আছে, এবং এই কারণে অস্থায়ী কাজের জন্য নেওয়া কোন শ্রমিক স্থায়ী প্রকৃতির কাজ করতে পারবে না। অনুরূপ বিধানবলী EPZ শ্রম আইন ২০১৯ এ পাওয়া যায়।

আইনের ২০২২ সংশোধনীর বিধান অনুযায়ী, শ্রমিকের শ্রেণিবিভাগ নির্ধারণের জন্য আমাদের দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক অস্থায়ী নাকি স্থায়ী। কোন শ্রমিক যদি কোন প্রতিষ্ঠানে অবিচ্ছিন্নভাবে টানা ১৮০ দিন কাজ করে থাকেন, তাহলে ওই কাজকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী কাজ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। তাহলে এর অর্থ হয়, নিয়োগকর্তা স্থায়ী প্রকৃতির কাজের জন্য অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে এই সংশধোনী আরও যা আবশ্যক করে তা হল, একই কর্মস্থলে কর্মরত চুক্তিকারী সংস্থা দ্বারা সরবরাহকৃত শ্রমিকের মজুরীর একজন স্থায়ী বা অনুরূপ পদমর্যাদার কর্মচারির থেকে কম হবে না। ওই ব্যক্তির মূল মজুরীও মোট বা সর্বমোট বেতনের ৫০% এর কম হবে না।

উৎস: শ্রম আইন ২০০৬-এর §৪(১-৭); SRO নং ২৮৪- আইন/২০২২, “বাংলাদেশের শ্রম আইন ২০১৫-র সংশোধনী”; বাংলাদেশের EPZ শ্রম আইন, ২০১৯-এর § ৫।

শিক্ষানবিশকাল

শ্রম আইন অনুযায়ী, একজন শ্রমিকের শিক্ষানবিশকাল দাফতরিক কাজে নিযুক্ত এমনদের জন্য ৬মাস এবং অন্যান্যদের ক্ষেত্রে ৩ মাস হয়ে থাকে। অনুরূপ বিধানবলী EPZ শ্রম আইন ২০১৯ এ পাওয়া যায়।

যদি কোন দক্ষ শ্রমিকের কাজের মান এই ৩ মাস শিক্ষানবিশকালে নির্ণয় করা সম্ভব না হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে মালিক চাইলে তার শিক্ষানবিশকাল প্রয়োজনে আরও ৩ মাসের জন্য বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এমনকি যদি চাকরি নিশ্চিতকরণের চিঠি নাও পেয়ে থাকে, তারপরেও ৩ মাস বা তার অধিক সময় শিক্ষানবিশকাল সমাপ্ত করার পর, সেই শ্রমিককে অবশ্যই স্থায়ী হিসেবে গণ্য করতে হবে। যদি কোন শিক্ষানবিশের নিয়োগ বাতিল করা হয়, কিন্তু সে একই নিয়োগকর্তার অধীনে পরবর্তী ৩ বছরের মধ্যে কোন চাকরি পেয়ে থাকে, স্থায়ীভাবে নিযুক্ত না হয়, তাহলে পূর্বের সম্পন্ন করা শিক্ষানবিশকালের কারণে বর্তমানে অব্যহতি পাবে।

উৎস: শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৮-৯); বাংলাদেশের EPZ শ্রম আইন ২০১৯-এর §৫।

কর্মসংস্থানব্যবস্থারউপরশর্তাবলী

  • বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ / Bangladesh Labour Act 2006
  • বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯ / Bangladesh EPZ Labour Act 2019
  • বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ / Bangladesh Labour Rules, 2015
  • SRO নং ২৮৪ আইন/২০২২ “বাংলাদেশের শ্রম আইন ২০১৫ এর সংশোধনী” / SRO No. 284- Law/2022, “Amendment of Bangladesh Labour Rule 2015”
Loading...