যৌনহয়রানি

This page was last updated on: 2023-06-22

যৌনহয়রানি

শ্রম আইন অনুযায়ী, এর মানে হল, যখন কোন প্রতিষ্ঠানে কোন মহিলা কর্মী কে তার পদমর্যাদা বা অবস্থান নির্বিশেষে, একই প্রতিষ্ঠানে কোন ব্যক্তি এমন কোন  ব্যবহার করতে পারবে না যা অশোভনীয় বা সেই মহিলা শ্রমিকের শালীনতা কে হানি করে। শ্রম আইন ২০০৬ এর অধীনে যৌন হয়রানি রোধ করার জন্য এছাড়া আর কোন বিধান নেই। ২০০৯ সালে মে মাসে পূর্ববর্তী ২০০৮ সালের পিটিশন নং ৫৯১৬ এর শুনানিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট যৌন হয়রানি বিষয়ক বিস্তারিত বর্ণনা প্রদান করে এবং নিয়োগকর্তাদের এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। যৌন হয়রানি বিষয়ক এই নির্দেশিকা সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা আবশ্যক (অনুচ্ছেদ ১) এবং যৌন হয়নারি বিষয়ক শুরু থেকে শেষ অবধি এবং প্রতিকূল পরিবেশে শ্রমিককে ধারনা প্রদান করতে হবে (অনুচ্ছেদ ৪)। এই নির্দেশিকা যৌন হয়রানি অপরাধের প্রতিরোধ সংক্রান্ত পদক্ষেপসহ সচেনতা বৃদ্ধি এবং ব্যাপকভাবে নারী পুরুষের সমান অধিকার এবং যৌন অপরাধ সম্পর্কে আইনি বিধানমালা প্রচার করার কাজ চিহ্নিত করে থাকে (৩,৫ ও ৬ নং অনুচ্ছেদ)। এছাড়াও এই নির্দেশিকার মধ্যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা (অনুচ্ছেদ ৭ ও ১১), অভিযোগ প্রক্রিয়া সহ কর্মস্থলে একটি অভিযোগ কমিটির প্রতিষ্ঠা (অনুচ্ছেদ ৮-১০)এবং ফৌজদারি মামলা (অনুচ্ছেদ ১১) সমুহের বিবরনিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কর্মস্থানে পর্যাপ্ত কার্যকর ভাবে এই আইন স্থাপ্তিত না সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশিকা জারি করার ক্ষমতা আছে।  

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ প্রতিরোধের অধীনে, “যেকোনো ব্যক্তি যদি তার যৌন চাহিদা পূরণ করার জন্য বেআইনি ভাবে কোন মহিলা শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে অথবা এমন কোন অশ্লীল ভঙ্গি করে তবে তাকে যৌন নিপীড়ন অপরাধ হিসেবে গন্য করা হবে এবং সেই ব্যক্তিকে বিবরনসহ কারাদণ্ড (দুই থেকে সাত বছর) এবং জরিমানা দণ্ড দেওয়া হবে”।                         

Loading...