ক্ষতিপূরণ

This page was last updated on: 2023-06-22

ওভারটাইমেরপ্রতিদান/অধিকসময়কাজেরপ্রতিদান

সাধারনত দৈনিক ৮ ঘণ্টা করে এবং সাপ্তাহিক ৪৮ ঘণ্টা কর্ম সময় হিসেবে ধরা হয়। বিশ্রাম এবং খাবার সময় ব্যতীত যে পরিমাণ সময় শ্রমিকরা তাদের নিয়োগকর্তার অধীনে কাজের জন্য দিয়ে থাকে সেই সময় কে “কর্ম সময়” হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। শ্রম আইন ২০০৬ অনুসারে, যদি কোন শ্রমিক দৈনিক ৮ ঘণ্টা এবং সাপ্তাহিক ৪৮ ঘণ্টার অধিক কোন দিন বা সপ্তাহ কাজ করে তাহলে তাকে ওভারটাইম হিসেবে ধরা হয়। ওভারটাইম সহ সর্বোচ্চ কাজের সময় সাপ্তাহিক ৬০ ঘণ্টা এবং গড়ে বাৎসরিক ভাবে ছাপান্নো ঘণ্টার অধিক হতে পারবে না। এই শর্তঅনুযায়ী সর্বোচ্চ ওভারটাইম দৈনিক ২ ঘণ্টা এবং সাপ্তাহিক ১২ ঘণ্টা হয়ে থাকে। তবে এক বছরে ওভারটাইমের পরিমাণ গড়ে সপ্তাহ প্রতি ৮ ঘণ্টা অতিক্রম করতে পারবে না।  

কারখানা এবং খনি ক্ষেত্রে কাজ করে এমন ১৬-১৮ বছর বয়সী তরুণদের দৈনিক ৫ ঘণ্টা এবং সাপ্তাহিক ৩০ ঘণ্টা কর্ম সময়, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বোচ্চ কাজের সময় দৈনিক ৭ ঘণ্টা, সাপ্তাহিক ৪২ ঘণ্টা এবং সর্বোচ্চ ওভারটাইম ৬ ঘণ্টা প্রতি সপ্তাহ(কারখানা এবং খনি খেত্রের জন্য ৩৬ ঘণ্টা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের জন্য ৪৮ ঘণ্টা)। সড়ক পরিবহনের শ্রমিকদের ক্ষেত্রে, মোট ওভারটাইম প্রতি বছর ১৫০ ঘণ্টার অধিক হতে পারবে না।

জনস্বার্থ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ঝুঁকি বিবেচনা করে সরকার যদি চায় তবে যেকোন বিভাগ কে এসকল নিয়ম থেকে ৬ মাসের জন্য অব্যাহতি দিতে পারে। যদি প্রয়োজন হয়ে তবে মৌলিক মজুরী থেকে দ্বিগুণ ওভারটাইম, মহার্ঘ ভাতা এবং অন্তর্বর্তীকালীন ভাতা প্রদান করতে পারে।

যখন একটি কর্মী কে ওভারটাইম করার জন্য অনুরোধ করা হয় বা প্রয়োজন হয় তখন কোন মানদণ্ড আরোপ করা হয় না। যে সকল কর্মীকে খণ্ডকালীন কাজের ভিত্তিতে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, তাদের ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা গড় পারিশ্রমিকের সাথে তুলনা করে কাজের সময় নির্ধারণ করতে পারে,যা শ্রমিকের মৌলিক মজুরীকে তার ওভারটাইম কাজের উদ্দেশ্য বিবেচনা করবে। (ধারা ১০০,১০২,১০৫,১০৮,১১১ এবং ১১৩, শ্রম আইন ২০০৬, সংশোধিত ২০১৩)।

 

রাত্রিকালীনশ্রমিকদেরকাজেরপ্রতিদান/ক্ষতিপূরণ

শ্রম আইন ২০০৬ কিশোর এবং নারী শ্রমিকের কাজের সীমাবদ্ধতার সাথে রাত্রিকালীন কাজের সম্পর্ক আলোচনা করে এবং কোন প্রক্রিয়াতে রাত্রিকালীন শ্রমিকদের বিশ্রামের সময়সীমা গননা করা হবে তার উপায় বর্ণনা করে। একটি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের কাজের সময়সীমা যদি মধ্যরাত অতিক্রম করে যায় তবে সেক্ষেত্রে তার কাজ শেষ হওয়ার পর থেকে ২৪ ঘণ্টা তার বিশ্রামকালীন সময় হতে হবে। কোন নারী শ্রমিককে তার সম্মতি ছাড়া রাতে (কোন প্রতিষ্ঠানের রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে) কাজ করার জন্য বাধ্য করা যাবে না। কিশোর (১৬-১৮ বছর বয়সী) শ্রমিকরা সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে কাজ করতে পারবে না। শ্রম আইনের অধীনে কোন রাত্রি কালীন শ্রমিককে অধিক হারে মজুরী দেওয়া যাবে না। একইভাবে শ্রম আইনে রাত্রিকালীন শ্রমিকদের কাজের সময় কমানোর জন্য কোন বিধান নেই। (শ্রম আইনে ধারা ৪১(৩), ১০৬ ও ১০৯, সংশোধিত ২০১৩) 

ছুটিরদিন/বিশ্রামদিবসেরক্ষতিপূরক

কোন শ্রমিককে যদি প্রয়োজনে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজ করতে হয়, তাহলে সেই পরিস্থিতি শেষ হওয়ার পর থেকেই সে সমপরিমাণ ক্ষতিপূরক ছুটির অধিকার রাখে। একইভাবে যদি প্রয়োজনে কোন শ্রমিক উৎসব/ সরকারী ছুটির দিনে কাজ করে থাকে, তাহলে সে পারিশ্রমিকসহ অতিরিক্তি ২দিন ক্ষতিপূরক ছুটি এবং একটি মজুরী হ্রাস ব্যতীত বিকল্প একটি ছুটির অধিকার রাখে। (শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১০৩,১০৪ ও ১১৮(৩), সংশোধিত ২০১৩)                                                  

সাপ্তাহিকছুটি/সরকারীছুটিরদিনেকাজেরপ্রতিদান/ক্ষতিপূরক

সাপ্তাহিক ছুটি বা সরকারী ছুটির দিনে কাজ করার জন্য কোন অধিক হারে মজুরী প্রদানের নির্দেশ নেই। বরং যদি কোন শ্রমিক সাপ্তাহিক ছুটির / উৎসবের দিনে কাজ করে থাকে তবে সেই কাজের বিনিময়ে সে ১দিন সাপ্তাহিক ছুটিতে কাজের জন্য এবং ২দিন অতিরিক্ত ক্ষতিপূরক ছুটি (এবং একটি বিকল্প ছুটি)ভোগ করার অধিকার রাখে।

(শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১০৪ ও ১১৮(৩), সংশোধিত ২০১৩)

ঘণ্টাপ্রতিকাজ,সাপ্তাহিকছুটিএবংসরকারীছুটিরদিনেকাজেরনিয়মাবলিঃ

  • বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, সংশোধিত ২০১৩ / Bangladesh Labour Act 2006, amended in 2013
Loading...