অক্ষমতা/কাজেআহতহওয়ারজন্যসুবিধা
পরিণতির উপর নির্ভর করে কর্মক্ষেত্র জনিত আঘাত কে শ্রেণীবিভাগ করা যায় যেগুলো হলঃ ১) স্থায়ী ভাবে সম্পূর্ণ অক্ষমতা ২)স্থায়ীভাবে আংশিক অক্ষমতা ৩)সাময়িক অক্ষমতা ৪)অধিক আঘাতের কারনে কোন শ্রমিকের মৃত্যুবরণ।
সম্পূর্ণভাবে (১০০%) অক্ষমতার ক্ষেত্রে, শ্রমিকদেরকে ২,৫০,০০টাকা পাওয়ার অধিকার আছে অথচ আংশিক অক্ষমতার ক্ষেত্রে, পূর্বে সে কোন পরিমানে অর্থ উপার্জন থেকে বঞ্চিত থাকছে তা মূল্যায়ন করে শ্রমিককে তার সুবিধা প্রদান করা হয়।
আংশিক অক্ষমতার ক্ষেত্রে, প্রথম ২ মাসে ১০০% সুবিধা পাবে বীমা উপার্জন থেকে, পরবর্তী ২ মাসে ৬৬.৭%, এবং পরের মাসগুলোতে অথবা ১ বছর পর্যন্ত যেটি কম সময়ের হবে, অক্ষমতার জন্য ৫০% আয় পেয়ে থাকবে (প্রথম ৩ দিনকে অপেক্ষাকাল ধরে নিতে হবে)।
কোন ক্ষেত্রে যদি পেশাগত দুর্ঘটনা বা রোগের কারনে শ্রমিকের মৃত্যু হয়ে যায়, তাহলে প্রতি বছর সেবার জন্য বীমা সুরক্ষিত শ্রমিককে ৩০ দিনের মজুরি বা ২,০০,০০০টাকার পরিমান, যেটি অধিক হয় তা, শ্রম আদালত দ্বারা একটি নির্ধারিত অনুপাতে জীবিত নির্ভরশীলদের দেওয়া হয়। যদি পূর্বে কোন পো্ষ্য মনোনীত না হয়ে থাকে তবে এইধরনের পারিশ্রমিক অন্য নির্ভরশীলদের মাঝে ভাগ করার জন্য শ্রম আদালতে জমা দিতে হবে।
পেশাগত দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে EPZ শ্রম আইন ২০১৯ এ অনুরূপ বিধানবলী রয়েছে।
EPZ শ্রম আইনে একজন কর্মীকে ক্ষতিপূরণ দেবার ব্যাপারেও অতিরিক্ত বিধানবলী রয়েছে। একজন কর্মী যদি কোন প্রতিষ্ঠানে এক বছরের বেশি সময় কাজ করেন এবং তার কাজের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন কোন কারণে মারা যান, তাহলে নিয়োগকর্তাকে প্রতিটি কাজের বছরের জন্য ৩০ দিনের বেতন বা ৬ মাসের বেশি সময়ের আংশিক বেতন ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে।
কাজে থাকাকালীন বা কাজে হওয়া দুর্ঘটনার জন্য মৃত্যু হলে, ক্ষতিপূরণ কাজের প্রতিটি বছরের জন্য ৪৫ দিনের বেতন বা ৬ মাসের বেশি সময়ের আংশিক বেতন ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে।
ক্ষতিপূরণ অবশ্যই মৃত কর্মীর মনোনীত ব্যক্তিকে দিতে হবে। এই ধরনে মনোনীত ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে, অর্থ নির্ভরশীল ব্যক্তিকে/ব্যক্তিদের দিতে হবে।
পেশাগত কারণে হওয়া দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে, অক্ষমতাজনিত ক্ষতিপূরণ অক্ষম থাকাকালীন সময় জুড়ে মাসিক বেতনের অর্ধেক (৫০%) হিসেবে দিতে হবে, তবে সেই সময়কাল যেন ২ বছরের বেশি না হয়।
উৎস: শ্রম আইন ২০০৬-এর §১৫, ১৫১; বাংলাদেশের EPZ শ্রম আইন, ২০১৯-এর §১৮, ৭৩-৭৪।