সম্মিলিত চুক্তির ডাটাবেজ

Bipartite Collective Bargaining Agreement between Bangladesh Finished Leather, Leathergoods and Footwear Exporters’ Association (BFLLFEA) and Tannery Workers’ Union, 19^th June 2016

Ref N  বিএফএলএলএফইএ/ট্যানারী ওয়ার্কস ইউনিয়ন/২০১৬/৩০২                           Date: ১৯.০৬.২০১৬

বিএফএলএলএফইএ- এর সংশ্লিষ্ট সম্মানিত সদস্যবৃন্দ।

মেসার্স-----------------------------------------

 

-----------------------------------------------

বিষয়: বিএফএলএলএফইএ এবং ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন -এর মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বি-পক্ষীয় চুক্তিনামা প্রেরণ প্রসঙ্গে।

 

মহোদয়,

উপরোল্লিখিত বিষয়ের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক জানানো যাচ্ছে যে, বিএফএলএলএফইএ এবং ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন-এর মধ্যে ১লা জানুয়ারী, ২০১৬ হতে ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত মেয়াদের জন্য স্বাক্ষরিত দ্বি-পাক্ষিক চুক্তিনামার একটি কপি আপনাদের সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এতদসঙ্গে প্রেরণ করা হলো।

ধন্যবাদান্তে,

আপনার বিশস্ত- 

সংযুক্তঃ ১০ (দশ) পৃষ্ঠা।

(মো: জয়নাল আবেদীন)

সচিব

বিএফএলএলএফইএ।

ফোন: ০১৭১৬৯৯০২১২

সদয় অবগতির জন্য অনুলিপি দেয়া হলো:-

১. সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক, ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, হাজারীবাগ, ঢাকা। চুক্তির এক কপি এতদসঙ্গে প্রেরণ করা হলো।

 

 

 

 

 

 

বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুড্স এন্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশন (বিএফএলএলএফইএ) বাড়ী-৩২/এ, ফ্ল্যাট বি-২, রোড নং-২, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯ এবং ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-বি ১০৩৩), প্রধান কার্যালয়-১৮০/এ, হাজারীবাগড়, ঢাকা-১২০৯-এর মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩) এর ২১০ (৩) ধারা মোতাবেক ১৮/০৫/২০১৬ইং তারিখে  স্বাক্ষরিত দ্বি পক্ষীয় চুক্তিনামা।

 

বিরোধের পটভূমি

গত ১৪/০১/২০১৬ইং তারিখে ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের পক্ষ হইতে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস এন্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টস এসোসিয়েশন-এর সদস্য ট্যানারী সমূহের মালিকগণের নিকট বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ (সংশোধিত-২০১৩) এর ২১০ ধারা মোতাবেক ৬ (ছয়) দফা দাবীনামা পেশ করা হয়। ইউনিয়ন কর্তৃক পেশকৃত দাবী নিষ্পত্তি বা ফয়সালার ব্যাপারে ট্যানারীরর মালিকগণ ইউনিয়ন ও এসোসিয়েশনকে অবহিত করেন যে, শ্রমিকদের দাবী ফয়সালার সুবিধার্থে পূর্বের মতই এবং পূর্বের ধারাবাহিকতায় তাহাদের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস এন্ড ফুটওয়্যার এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন, ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এর সাথে আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিকদের দাবী নিষ্পত্তি ও চুক্তি সম্পাদন করিবেন এবং উভয় পক্ষের মধ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হইবে তাহারা উহা মানিয়া লইবেন এবং তাহা যথাযথভাবে পালন করিবনে। এই প্রেক্ষিতে বিএফএলএলএফইএ’র সচিব গত ১৯/০১/২০১৬ইং তারিখে একটি চিঠির মাধ্যমে ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়নকে জানান যে, ৬ দফা দাবী নিষ্পত্তির ব্যাপারে এসোসিয়েশনের ট্যানারী শিল্প শ্রমিক বিষয়ক উপ-কমিটি খুব শীঘ্রই ইউনিয়নের সাথে আলোচনা বৈঠকে বসিবেন।

 

অত:পর বিএফএলএলএফইএর ট্যানারী শিল্প বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক (এপেক্স ট্যানারী লিমিটেড এর নির্বাহী পরিচালক) জনাব এম.এ মাজেদ এর সভাপতিত্বে গত ০১/০২/২০১৬, ১৬/০২/২০১৬, ০৭/০৩/২০১৬, ২৭/০৩/২০১৬, ১২/০৪/২০১৬, ২৬/০৪/২০১৬, ১২/০৫/২০১৬ ও ১৮/০৫/২০১৬ইং তারিখে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩) এর ২১০(২) ধারা মোতাবেক মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অদ্য ১৮.০৫.২০১৬ তারিখে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত আলোচনায় উভয় পক্ষ এই মর্মে সমঝোতায় উপনীত হন যে, ট্যানারীতে কার্যরত স্থায়ী শ্রমিকদের বর্তমানে যার যার প্রাপ্ত বেসিক এর সাথে ২৫% মজুরী বৃদ্ধি এবং অস্থায়ী শ্রমিকদের বর্তমানে যার যার প্রাপ্ত মজুরীর সাথে দৈনিক ৫০/- টাকা বৃদ্ধি করিয়া মজুরী/বেতন পুনঃ নির্ধারণ করা হইবে এবং বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট, নৈশ ভাতা ও ডিউটি কালিন নাস্তার টাকার ক্ষেত্রে সমঝোতা হয় যে, গত ২০১৪ সালের চুক্তিতে যে পরিমাণ টাকা বৃদ্ধি হইয়াছিল এই বারও বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট, নৈশ ভাতা ও ডিউটি কালীন নাস্তার টাকার ক্ষেত্রে অনুরূপ ভাবে একই পরিমান টাকা বৃদ্ধি করা হইবে। ইহা ছাড়া দাবীর অন্যান্য বিষয়গুলি ২০১৪ সালের চুক্তি অনুযায়ী বলবৎ থাকিবে। উভয় পক্ষে এই সমঝোতা হওয়ার পর বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩) এর ২১০(৩) ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস এন্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশন এবং ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের নেতৃত্ববৃন্দ/প্রতিনিধিগণের (নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণের) নিম্ন বর্ণিত শর্তে দ্বি-পক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হইল।

চুক্তির শর্তাবলী

দাবী নং-১ মজুরী/বেতন, ভাতাদি, ইনক্রিমেন্ট, ওভারটাইম, বোনাস, গ্র্যাচুইটি, নোটিশ-পে ও প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি প্রসঙ্গে

(চ) ওভার টাইমকালীন নাস্তার টাকা:

ওভার টাইমকালীন নাস্তার টাকা প্রদানের বিষয়টি আপাততঃ স্থগিত রাখা হইল।

(ছ) স্বাস্থ্য ঝুঁকি ভাতা:

ট্যানারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে কার্যরত শ্রমিক কর্মচারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ভাতা প্রদানের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনাধীন রহিল।

 

(ট) হাজিরা বোনাস প্রদান :

শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস প্রদানের বিষয়টি বিবেচনাধীন রহিল।

(ঠ) লভ্যাংশ প্রদান :

উপরোক্ত বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।

 

 

 

 

দাবী নং-২, শ্রমিক স্থায়ী করন, নিয়োগ পত্র, সার্ভিস বুক, হাজিরা কার্ড, গ্রেড পূনঃ নির্ধারন, পদোন্নতি ইত্যাদি বিষয়:

(খ) নিয়োগপত্র :

উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনায় ঐক্যমত হইল যে, নতুন শ্রমিক/কর্মচারী নিয়োগ করার সময় শ্রম আইন অনুযায়ী তাহাদের শ্রেণী বিন্যাস করিয়া নিয়োগ পত্র প্রদান করা হইবে। ইহাছাড়া নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে কারখানায় কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের উপযুক্ত পোষ্যদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে।

(গ) শ্রমিকদের গ্রেড পুনঃ নির্ধারন প্রসঙ্গে:

উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনায় ঐক্যমত হইল যে, কিছু সমস্যা থাকার কারণে শ্রমিক কর্মচারীদের নতুন গ্রেড নির্ধারন করা সম্ভব না হওয়ায় আপাততঃ পূর্বের মত ৪(চার) টি গ্রেড বা স্কেল বহাল থাকিবে।

(ঘ) সার্ভিস বুক, পরিচয় পত্র ও হাজিরা কার্ড প্রদানঃ

উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনায় ঐক্যমত হইল যে, ট্যানারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে কার্যরত সকল স্থায়ী শ্রমিক/কর্মচারীকে শ্রম আইন অনুযায়ী সার্ভিস বুক প্রদান করা হইবে। ইহাছাড়া স্থায়ী-অস্থায়ী নির্বিশেষে কার্যরত সকল শ্রেণীর শ্রমিক কর্মচারীকে অবিলম্বে হাজিরা কার্ড ও পরিচয় পত্র প্রদান করা হইবে  (যে সকল ট্যানারীতে দেওয়া হয় নাই তাহাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।

(ঙ) পদোন্নতি প্রদান, উচ্চ গ্রেডের শ্রমিক দ্বারা নি¤œ গ্রেডের কাজ না করানো এবং স্থায়ী কাজ অস্থায়ী শ্রমিক দ্বারা না করানোঃ

উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনায় ঐক্যমত হইল যে, শ্রমিক কর্মচারীদের পদোন্নতির বিষয়টি কারখানার শ্রমিক প্রতিনিধি ও ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দেও সাথে আলোচনা করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে। ইহাছাড়া উচ্চ গ্রেডের শ্রমিক দিয়া নি¤œ গ্রেডের কাজ করানো হইবে না।

(চ) শ্রমিকদের স্টাফ বলা প্রসঙ্গে:

বিভিন্ন ট্যানারীতে বিভিন্ন গ্রেডে শ্রমিকের কাজে নিয়োজিত/কর্মরত ব্যক্তিগণ যারা আইন অনুযায়ী শ্রমিকের অঅওতায় পড়ে তাদেরকে স্টাফ বলা যাইবেনা। তাহারা শ্রমিক হিসাবে গণ্য হইবেন এবং শ্রম আইন ও দ্বি-পক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী তাহাদের প্রাপ্য সকল সুবিধাদি প্রদান করা হইবে।

দাবী নং-৩, চামড়া শিল্পে নগরীতে শ্রমিকদের বাসস্থান, হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ, ইউনিয়ন কার্যালয়, খেলার মাঠসহ প্রয়োজনীয় বিষয় এবং শ্রমিকদের চাকুরীর ধারা-বাহিকতা রক্ষা ও প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ চাকুরীর হিসাবের প্রত্যয়ন পত্র প্রদান প্রসঙ্গে:

(ক) শ্রমিক কর্মচারীদের বাসস্থান ও হাসপাতাল সহ অন্যান্য জরুরী সকল বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা:

উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনায় ঐক্যমত হইল যে, ট্যানারী শিল্প রক্ষা ও ইহার উন্নতির স্বার্থে সাভারস্থ চামড়া শিল্প নগরীতে শ্রমিক কর্মচারীদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা অপরিহার্য বিধায় ট্যানারী মালিকগণ স্ব-স্ব নামে অথবা যৌথভাবে সরকারের নিকট হইতে জমি বরাদ্দের ব্যবস্থা করিবেন। বরাদ্দকৃত জমি শুধুমাত্র শ্রমিকদের বাসস্থানসহ অন্যান্য কল্যাণ মূলক কাজে ব্যবহৃত হইবে। ইহাছাড়া হাসপাতাল, শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য স্কুল, কলেজ, ডে-কেয়ার সেন্টার, মসজিদ, ইউনিয়ন কার্যালয়, ক্লাব ঘর ও খেলার মাঠসহ প্রয়োজনীয় সকল অবকাঠামো বাস্তবায়ন করার জন্য বিএফএফএলএফইএ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।

(খ) ট্যানারী স্থানান্তর এর প্রেক্ষিতে শ্রমিকদের চাকুরীর ধারাবাহিকতা রক্ষা, প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ চাকুরীর হিসাবের প্রত্যয়ন পত্র প্রদনা:

উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনায় ঐক্যমত হইল যে, ট্যানারী শিল্প স্থানান্তারের পূর্বেই হাজারীবাগের ট্যানারী শিল্পে কার্যরত স্থায়ী-অস্থায়ী নির্বিশেষে সকল শ্রমিকের চাকুরীতে যোগদানের তারিখ হইতে হিসাব করিয়া চাকুরীর প্রত্যয়ন পত্র, চাকুরীর ধারাবাহিকতা রক্ষা ও হালনাগাদ প্রভিডেন্ট ফান্ডের সম্পূর্ণ হিসাব প্রদান করা হইবে।

দাবী নং-৪, দূর্ঘটনা ও পেশাগত রোগে মৃত্যু, ক্ষতিপূরণ, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে:

(গ) নারী শ্রমিক-কর্মচারীদের শ্রম আইন অনুযায়ী প্রাপ্য সুবিধাদী প্রদান:

উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনায় ঐক্যমত হইল যে, পূর্বের চুক্তি-২০১৪ ইং মোতাবেক ট্যানারী শিল্পে কার্যরত নারী শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য পৃথক টয়লেট, পোষাক পরিবর্তন ও খাবার কক্ষসহ শ্রম আইন অনুযায়ী প্রাপ্য সকল সুবিধাদি প্রদান করা হইবে।

(ঘ) শিশু শ্রম বন্ধ করা:

উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনায় ঐক্যমত হইল যে, পূর্বের চুক্তি-২০১৪ইং মোতাবেক ট্যানারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে কোন অবস্থাতেই শিশু শ্রমিক নিয়োগ করা হইবেনা। ট্যানারী শিল্পকে সম্পূর্ণভাবে শিশু শ্রম মুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস্ এন্ড ফুটওয়্যার এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন এর পক্ষ হইতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হইবে।

দাবী নং-৫, ছুটি সংক্রান্ত:

(ক) সাধারণ (জাতীয়,উৎসব) ও নির্বাহী আদেশের ছুটি সমূহ:

উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনায় ঐক্যমত হইল যে, ট্যানারী শিল্পে কার্যরত স্থায়ী-অস্থায়ী সকল শ্রমিক/কর্মাচারীগণ পূর্বের দ্বি-পক্ষীয় চুক্তি-২০১৪ইং অনুযায়ী সরকার ঘোষিত সাধারণ (জাতীয় , উৎসব) ও নির্বাহী আদেশের ছুটি সহ যে সমস্ত ছুটি ভোগ করিয়া আসিতেছেন তাহা বলবৎ থাকিবে। ছুটির তালিকা নিম্নরুপ:

বিঃদ্রঃ ইহা ছাড়া সরকার আরও কোন ছুটি ঘোষনা করিলে তাহা প্রদান করা হইবে ।

(ঘ) ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বার্ষিক সাধারণ সভার ছুটি:

ট্যানারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী-অস্থায়ী নির্বিশেষে কার্যরত শ্রমিক-কর্মচারীগণ পূর্বের দ্বি-পক্ষীয় চুক্তি-২০১৪ অনুযায়ী  ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে স্ব-বেতনে যে ছুটি ভোগ করিয়া আসিতেছেন তাহা অনুযায়ী বলবৎ থাকিবে।

(ঙ) শ্রমিক প্রতিনিধি নির্বাচনের দিন ছুটি প্রদান:

উপরোক্ত ছুটির বিষয়টি বিবেচনা করা হইবে।

(ঝ) আইন ও নিয়ম অনুযায়ী ছুটি প্রদান প্রসংগে:

উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনায় ঐক্যমত হইল যে, যে সকল ট্যানারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক/কর্মচারীদের নৈমিত্তিক ছুটি, চিকিৎসা ছুটি ও বাৎসরিক ছুটি সহ অন্যান্য যে সকল ছুটি প্রদান ও গ্রহণের ক্ষেত্রে যেখানে অনিয়ম আছে তাহা দূর করিয়া প্রচলিত নিয়ম ও আইন অনুযায়ী শ্রমিক/কর্মচারীদেরকে ছুটি এবং ছুটির টাকা প্রদান করা হইবে। এক্ষেত্রে মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষ শ্রম আইনের বিধি বিধান মানিয়া চলিবেন।

দাবী নং-৬, বিভিন্ন কল্যাণ মূলক ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়:

(ক) গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স:

উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনায় ঐক্যমত হইল যে, পূর্বের চুক্তি-২০১৪ মোতাবেক ট্যানারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে কার্যরত স্থায়ী অস্থায়ী নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য অবিলম্বে  কারখানর মালিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স চালু করিবেন।

(খ) ক্যান্টিন চালু করা:

উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনায় ঐক্যমত হইল যে, প্রচলিত আইন অনুযায়ী কার্যরত সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য হ্রাসকৃত মূল্যে (সাবসিডি রেটে) ক্যান্টিন চালুর ব্যবস্থা করা হইবে।

 (ছ) ইউনিয়নের অফিস সংস্কার ও আসবাবপত্রের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান:

উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনায় ঐক্যমত হইল যে, একটি টেলিভিশন সহ ইউনিয়নের আসবাবপত্রের ক্রয় ও ইউনিয়ন অফিস সংস্কারের জন্য বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস্ এন্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টাস এসোসিয়েশনের পক্ষ হইতে ট্যানারী ওয়ার্কাস ইউনিয়কে এককালীন ১,০০,০০০ (এক লাখ) টাকা দেওয়া হইবে।

(জ) ইউনিয়নের অফিস সেক্রেটারীর বেতন প্রদান:

উপরোক্ত বিষয়টি স্থগিত রাখা হইল।

(ঝ) শ্রম আইন ও প্রচলিত নিয়ম মেনে চলা:

এই চুক্তিনামায় যে সকল বিষয়ে উল্লেখ নাই সেক্ষেত্রে মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষ বর্তমান শ্রম আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন এবং ট্যানারী শিল্পে প্রচলিত নিয়ম ও শ্রম আইন মানিয়া চলিবেন।

(ঞ) শ্রমিক/কর্মচারীদের প্রাপ্ত সকল সুবিধাদি বলবৎ রাখা ও চুক্তি কার্যকরী/বাস্তবায়ন করা:

উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনায় ঐক্যমত হইল যে, বিগত বৎসরগুলিতে এবং ২০১৬ সনে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস্ এন্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টাস এসোসিয়েশন ও ট্যানারী ওয়ার্কাস ইউনিয়ন এর মধ্যে সম্পাদিত সকল চুক্তির শর্তাবলী অনুযায়ী যেসব বিষয়ে মীমাংসা হইয়াছে তাহা বহাল থাকিবে এবং চুক্তি অনুযায়ী ও ইহাছাড়া মালিক/কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে শ্রমিক কর্মচারীগণ আর্থিক সুবিধাসহ যে সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করিয়া আসিতেছেন তাহা বলবৎ (অব্যাহত) থাকিবে। আলোচনায় আরো ঐক্যমত হইল যে, ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন কর্তৃক পেশকৃত ৬ দফা দাবীনামার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস্ এন্ড ফুটওয়্যার এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন ও ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের মধ্যে সম্পাদিত দ্বি-পক্ষীয় চুক্তি দ্বারা প্রাপ্য সুবিধাদি প্রদান সহ এই চুক্তিনামা ১ জানুয়ারী-২০১৬ হইতে কার্যকরী হইবে এবং ইহার মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে। আলোচনায় আরো ঐক্যমত হইল যে, চুক্তি স্বাক্ষরের তারিখের হইতে ১ মাসের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হইবে। অত্র চুক্তি বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস্ এন্ড ফুটওয়্যার এক্সপোটার্স এসোসিয়েশনের অন্তর্ভূক্ত সকল সদস্য ট্যানারীতে কার্যরত শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য হইবে। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস্ এন্ড ফুটওয়্যার এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন এর সকল সদস্যবৃন্দ (ট্যানারীর মালিকগণ) এবং ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সদস্যগন চুক্তির সমস্ত শর্তাবলী মানিয়া চলিবেন। আলোচনায় আরো ঐক্যমত হইল যে, ইউনিয়নের পক্ষ হইতে এ চুক্তির শর্তাবলী হেমায়েতপুর চামড়া শিল্প নগরী/হাজারীবাগস্থ সকল ট্যানারীতে কার্যকরী/বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নিলে এসোসিয়েশনের পক্ষ হইতে সর্বাত্মক সহযোগীতা প্রদান করা হইবে। আশা করা যাইতেছে যে, এই চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ট্যানারী শিল্পে কার্যরত সকল শ্রমিক কর্মচারীগণ স্ব স্ব অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করিয়া চামড়ার গুণগত মান রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করিবেন। পাশাপাশি কারখানার মালিক/কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কর্ম পরিবেশ ও মালিক শ্রমিকের সম্পর্কোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখিবেন।