Memorandum of Settlement between Romana Fashions and Workers’ Representative, 11th April 2017
ফরম-৬৫
[ ধারা ২১০(৩)(৮) এবং বিধি-২০৩ দ্রষ্টব্য]
নিষ্পত্তিনামা
অদ্য ১১/৪/২০১৭ খ্রিঃ তারিখে অত্র নিষ্পত্তিনামা পক্ষগণ মানিয়া লইয়া স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে স্বাক্ষর করিলেন।
মালিকপক্ষের প্রতিনিধিত্বকারীঃ
১। জনাব সাদিক বিন সেলিম, পরিচালক
২। জনাব মোঃ কামরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক (এইচ আর, এডমিন)
৩। জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম, এজিএম কমপ্লেক্স
শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারীঃ
১। মোঃ মমিন, সভাপতি
২। মোঃ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ২১০ ধারা মোতাবেক রোমানা ফ্যাশন লিঃ শ্রমিক ইউনিয়নে (রেজিঃ নং-ঢাকা-৪৭৮৮) এর গত ০৭/৫/২০১৬ ইং তারিখে ১১ দফা দাবীনামা মালিকপক্ষের নিকট উত্থাপন করেন। উক্ত দাবীনামা দ্বি-পাক্ষিকভাবে মিমাংসা না হওয়ায় তারা অত্র দপ্তরে ত্রি-পাক্ষিক সালিসী বৈঠকের আবেদন করেন। সে মোতাবেক অত্র দপ্তর গত ১২/৬/১৬, ২৩/৬/১৬, ২০/৭/২০১৬, ২০/৯/২০১৭ এবং ১১/৪/২০১৭ ইং তারিখে ত্রি-পাক্ষিক সালিসী বৈঠকের মাধ্যমে ইউনিয়নের ১১ দফা দাবীর উপর নিম্নোক্ত মতে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ঃ-
চুক্তির শর্তাবলিঃ
দাবী নং-১। মজুরী ও ভাতা পরিশোধ-
ক) কারখানার সকল শ্রমিক ও কর্মচারীদের মজুরী ও হাজিরা কার্ডে/পাঞ্চ কার্ডে প্রদর্শিত ও ভিন্নভাবে রক্ষিত অপ্রদর্শিত অতিরিক্ত কাজের মজুরী পরবর্তী মাসের ৫ (পাঁচ) তারিখের মধ্যে পরিশোধ করিতে হইবে।
খ) কোন শ্রমিকের চাকুরী সমাপ্ত হইবার ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের সকল পাওনা পরিশোধ করিতে হইবে। বাৎসরিক মজুরী বৃদ্ধিঃ- কারখানার সকল শ্রমিক কর্মচারীদের সাকুল্য মজুরীর উপর বাৎসরিক ২০% হারে মজুরী বৃদ্ধি প্রদান করতে হবে। এই মজুরী বৃদ্ধি প্রতি বৎসর জুন ১(এক) তারিখ থেকে প্রদান করতে হবে। কোন শ্রমিক জুনের ১ তারিখের ১ বৎসরের কম কাজ করলে তাকে হারাহারি হারে মজুরী বৃদ্ধি প্রদান করতে হবে।
সিদ্ধান্তঃ আইনানুযায়ী বেতন পরিশোধ করা হবে। পরবর্তী মাসের ০৭ কর্মদিবসের মধ্যে অবশ্যই পরিশোধ করা হবে।
দাবী নং-২। হাজিরা বোনাসঃ- অত্র প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদেরকে প্রতি মাসে ৬০০/- টাকা হারে হাজিরা বোনাস প্রদান করতে হবে এবং কোন শ্রমিক অনুমোদিত ছুটি ভোগকালে হাজিরা বোনাস কর্তন করা যাবে না। শ্রমিকদের কমপক্ষে ২০ মিনিট পর্যন্ত যুক্তিসঙ্গত কারনে বিলম্ব উপস্থিতিতে অনুমোদন করতে হবে। একজন শ্রমিক পুরো মাসে যতক্ষণ সময় বিলম্ব করে শুধুমাত্র উক্ত সময়ের মজুরীর আনুপাতিক হারে কর্তন করা যেতে পারে।
সিদ্ধান্তঃ- হাজিরা বোনাস ২০০/- টাকার স্থলে ৩৫০/- টাকা করা হইয়াছে। আগামী জানুয়ারই/২০১৭ হতে ৪০০/- টাকা করা হবে। হাজিরা বোনাস প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সকল ৮.০৫ মিনিটে অফিসে প্রবেশ করতে হবে।
দাবী নং-৩। অভোগকৃত অর্জিত/বাৎসরিক ছুটি মজুরী ও অন্যান্য ছুটি।
ক) অত্র প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদেরকে প্রতি বৎসর ২১ দিনের জন্য অর্জিত/বাৎসরিক ছুটি প্রদান করতে হবে। প্রতি বৎসরের অভোগকৃত অর্জিত/বাৎসরিক ছুটির জন্য শ্রমিকদেরকে পূর্ণ মজুরীতে পরবর্তী বৎসরের জানুয়ারী মাসে নগদ অর্থ প্রদান করতে হবে।
খ) অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রমিককে তাহাদের অভোগকৃত বাৎসরিক ছুটির বিবরণ ১লা জুন ২০১৬ এর মধ্যে প্রদান করতে হবে।
গ) শ্রমিক পাওনা যে কোন ছুটি দাবী করলে কোন বৈধ কারণ ব্যতিত শ্রমিকদের আবেদন নাকচ করা যাবেনা। কর্তৃপক্ষ কোন ছুটি নাকচ করলে শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি লইয়া কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনার অধিকার থাকবে।
ঘ) কোন শ্রমিক নৈমিত্তিক বা অসুস্থতাজনিত (মেডিকেল) ছুটি ভোগ না করলে তাহা জমা থাকবে এবং ভবিষ্যতের যেকোন অসুস্থতা বা জরুরী প্রয়োজনে এই ছুটি ব্যবহার করা যাবে তবে ঐ জমাকৃত ছুটির জন্য শ্রমিক নগদ অর্থ বা নগদায়ন দাবী করা হবে না।
ঙ) কোন শ্রমিক যদি অসুস্থতার কারনে অনুপস্থিত থাকে তাহলে কোম্পানী তার বিরুদ্ধে কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে না।
চ) কোম্পানী সকল শ্রমিককে একটি করে ছুটি বই প্রদান করবে। এতে ভোগকৃত ছুটি ও প্রাপ্য ছুটির সর্বশেষ বিবরণ সংরক্ষণ করা হবে।
ছ) দৈনিক প্রতি লাইন থেকে ৫ জন, ফিনিশিং সেকশন হইতে ১০ জন এবং কাটিং সেকশন হইতে ৩ জন শ্রমিকের ছুটি অনুমোদন করতে হবে।
দাবী নং-৪। ক্যান্টিন।
ক) কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক খাবার ও নাস্তা করার জন্য ১টি (একটি) ক্যান্টিন এর ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রমিকদের ক্যান্টিন হতে যে খাবার প্রদান করা হইবে তাহার সাপ্তাহিক ভিত্তিক তালিকা টাঙ্গানো থাকবে। ক্যান্টিনের খাবার মান বজায় রাখার বিষয়ে শ্রমিকদের কোন অনুযোগ বা পরামর্শ থাকলে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি তৎবিষয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত উপনীত হইবার অধিকার থাকবে।
খ) খাবার ঘরের পরিবেশ পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর রাখতে হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করতে হবে। ইহাছাড়াও কারখানার ভিতরে শ্রমিকদের কর্মস্থলে যে ফ্যান আছে তা পর্যাপ্ত নয়। পর্যাপ্ত সংখ্যক ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে। ক্যান্টিনে কোন অবস্থাতেই কার্টুন বা অন্য কোন মালামাল রাখা যাবে না।
সিদ্ধান্তঃ- আগামী দুই মাসের মধ্যে ক্যান্টিনে ফ্যান দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পানির ব্যবস্থা করা হবে। এতদ্বিষয় ইউনিয়নের সাথে আলাপ আলোচনা করা হবে।
দাবী নং-৫। মাতৃত্বকালীন ছুটি ও ভাতা বর্ধিতকরণ।
ক) ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ অবশ্যই অবগত রয়েছেন যে, অত্র প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ৮৫% মহিলা শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। প্রসুতিকালীন সময়ে মহিলা শ্রমিকদের ১৬ সপ্তাহ ছুটি (প্রসুতি ভাতাসহ) প্রদান করা হয়। যা একজন মায়ের পক্ষে সন্তান প্রসবের ৮ সপ্তাহ শেষ হওয়ার পর নবজাতক শিশুকে বাসায় রেখে কাজে যোগদান প্রায় অসম্ভব। সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর ন্যুনতম ৬ মাস পর্যন্ত নবজাতককে শাল দুধ খাওয়ানোর জন্য চিকিৎসকগণ পরামর্শ দেন। এমতাবস্থায় অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্মরত মহিলা শ্রমিকদের ১৬ সপ্তাহের স্থলে ২৪ সপ্তাহ (০৬ মাস) মাতৃত্বকল্যাণ ছুটি ঘোষণা করার দাবী জানাচ্ছি।
খ) অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল পুরুষ শ্রমিকদের তাহার স্ত্রী সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর ২০ দিনের স্ববেতনে বিশেষ ছুটি প্রদান করতে হবে।
ডে-কেয়ারঃ
বর্তমানে অত্র গ্রুপে (ইষ্ট ওয়েষ্ট গ্রুপ) ১৩টি কারখানার (ইউনিট) প্রায় সাত হাজার শ্রমিকের জন্য এর জন্য মাত্র একটি ডে কেয়ার সেন্টার আছে, সেখানে মাত্র ১০ জন শিশুকে রাখা হয়। এমতাবস্থায় প্রত্যেক ইউনিটএর জন্য ১০ জন শিশু রাখার মত ডেকেয়ার সেন্টার এর দাবী জানাচ্ছি। সার্বক্ষণিক এমবিবিএস চিকিৎসক ও এ্যাম্বুলেন্স-বর্তমানে অত্র গ্রুপে (ইষ্ট ওয়েষ্ট গ্রুপ) ১৩ টি কারখানার (ইউনিট) প্রায় সাত হাজার শ্রমিকের জরুরী চিকিৎসা জন্য সার্বক্ষণিক এমবিবিএস চিকিৎসক ও এ্যাম্বুলেন্স রাখার দাবী জানাচ্ছি।
সিদ্ধান্তঃ-
দাবী নং-৬। উৎসব বোনাসঃ
প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকগণকে (যাহাদের চাকুরী ৬ মাস পূর্ণ হয়েছে) প্রতি পঞ্জিকা বছরে ইসলাম ধর্মালম্বীদের পবিত্র ঈদ উল ফিতর ও ঈদ আযহা এবং অন্যান্য ধর্মালম্বীদের খেত্রেও একই সময়ে ১ মাসের মূল মজুরীর সমপরিমান অর্থ উৎসব বোনাস হিসেবে প্রদান করতে হবে। কোন শ্রমিক কোন পঞ্জিকা অংশ বিশেষ কাজ করলে তিনি হারাহারি ভিত্তিতে ঐ বৎসরের জন্য বোনাস প্রাপ্ত হবেন।
সিদ্ধান্তঃ-
দাবী নং-৭। অতিরিক্ত কাজের জন্য টিফিন বিল ও ডিনার বিলঃ
অত্র প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকগণকে অধিকতর উৎপাদনের স্বার্থে অতিরিক্ত কাজে নিয়োজিত রাখা হলে এই জন্য নামমাত্র টিফিন প্রদান করা হয় যাহা খুবই নিম্নমানের। টাকার অংকে মাত্র ১২ টাকা। ইহা বর্তমান বাজার দর বিবেচনায় উক্ত টাকার টিফিন করা কোনক্রমেই সম্ভব নয়। তাই বর্তমান বাজার দরের সাথে সঙ্গতি রেখে ৮(আট) ঘণ্টা কর্মদিবসের পরে ২(দুই) ঘণ্টা অতিরিক্ত কাজের জন্য ৩০/- টাকার টিফিন প্রদান করতে হবে।
দাবী নং-৮। অগ্নি নিরাপত্তা ও কর্ম পরিবেশঃ
কারখানা ভবন, কারখানার বিষয় সম্পত্তি ও শ্রমিকদের জানমাল রক্ষা করার স্বার্থে ভবিষ্যতে যে কোন অগ্নিকান্ড ও ভবন ধংশের মত দুর্ঘটনা এবং দুঃখজনক মৃত্যু পরিহারের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের যৌথ প্রচেষ্টা গ্রহণ করা আবশ্যক। এইরূপ পরিস্থিতিতে অত্র প্রতিষ্ঠানের অগ্নি নিরাপত্তা ও ভবনের নিরাপত্তাসহ শ্রমিকদের সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে পর্যালোচনা ও করনীয় বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তাব করছে। অত্র ইউনিয়ন বিশ্বাস করে এইরূপ আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতঃ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে অত্র কারখানা ও শ্রমিকদের সার্বিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যাবে। আলোচনা সাপেক্ষে কারখানায় একটি সেপটি কমিটি গঠনের দাবী জানাচ্ছি।
দাবী নং-৯। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সুযোগ সুবিধা ও আইনের বিধানের প্রয়োগঃ
ক) এ দাবীনামায় বর্ণনা করা হয় নাই এমন সুযোগ সুবিধা বা বর্তমান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শ্রমিকদের প্রদান করা হচ্ছে বা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান কোন নিয়ম যাহা শ্রমিকদের অনুকুলে আছে তাহা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিবর্তন করা, বাতিল বা হ্রাস করা যাবে না।
খ) অন্যান্য বিষয় সমূহ যা এই দাবী নামায় সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণনা করা হয় নাই সেই সমস্ত বিষয় সমূহের কর্তৃপক্ষ বিশ্বস্ততার সাথে দেশের প্রচলিত আইন ও বিধি বিধান অনুসরণ করিবে এবং আইন ও বিধির প্রয়োগ করিবে।
সিদ্ধান্তঃ- প্রস্তাবনা অনুযায়ী বর্ণিত বিষয়গুলো অনুমোদন করা হলো। ১৯-০১-২০১৫ ইং তারিখে সম্পাদিত নিস্পত্তিনামার সুযোগ সুবিধা বহাল ও কার্যকর থাকবে।
দাবী নং-১০। অত্যাবশ্যকীয় সম্পৃক্তকরণঃ
নিম্নলিখিত কাজ সমূহ শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ অনুমতি প্রদান করবেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মরত হিসেবে গণ্য হবেন।
ক) শ্রমিক ও শ্রম ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কোন সেমিনার বা কর্মশালায় সর্বচ্চ ৫ জন ইউনিয়নের কর্মকর্তার উপস্থিতি।
খ) ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক ইউনিয়নের যে কোন যৌথ সভায় কর্মকর্তাদের উপস্থিতি।
গ) শ্রমিক ইউনিয়নের সর্বচ্চ ৪ (চার) জন কর্মকর্তাদের কোন কার্য দিবসে শ্রমিক ইউনিয়নের কাজের উদ্দেশ্যে কোন আদালত বা সরকারী অফিস বা অন্য কোথাও উপস্থিতি। যাহা কোন পঞ্জিকা বৎসরে একক বা যৌথভাবে ২০০ ঘণ্টার বেশী হইবে না।
ঘ) শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যাদি পরিচালনার জন্য অতীব জরুরীভাবে অফিস এবং আসবাব পত্র এর ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য দাবী জানাচ্ছি।
সিদ্ধান্তঃ আগামী ৩১-০৮-২০১৭ ইং তারিখের মধ্যে শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস কক্ষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে। এতদ্ববিষয়ে ১৯-০১-২০১৫ ইং তারিখের নিস্পত্তিনামার অত্যাবশ্যকীয় সম্পৃক্তকরণ সংক্রান্ত সমঝোতা কার্যকর ও অব্যাহত থাকবে।
উপসংহারঃ রোমানা ফ্যাশন লিঃ শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-ঢাকা-৪৭৮৮) কর্তৃক উত্থাপিত দাবী সমূহ সন্তোষজনকভাবে নিস্পত্তি হওয়ার প্রেক্ষিতে উপস্থিত সকলে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ২১০ (৮) ধারা অনুযায়ী নিস্পত্তিনামাটি যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য উভয়পক্ষ একমত হইলেন। সেই সাথে মালিক-শ্রমিক সু-সম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে শ্রমিক প্রতিনিধিগণ আরো অঙ্গীকার করলেন যে, পূর্বের ন্যায় স্ব-স্ব বিভাগের উৎপাদনের লক্ষ্যে শ্রমিকদের দ্বারা করনীয় সকল কার্যক্রম ও দায়-দায়িত্ব পূর্বের ন্যায় অব্যাহত রাখবেন। কোন অবস্থাতেই বা কোন পরিস্থিতিতেই অবৈধ, অনৈতিক এবং অযৌক্তিক দাবী নিয়ে কারখানার উৎপাদন বন্ধ করা যাবে না।
এ নিস্পত্তিনামা আগামী দুই বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
মালিক প্রতিনিধিদের নাম ও স্বাক্ষরঃ শ্রমিক প্রতিনিধিদের নাম ও স্বাক্ষরঃ
১। জনাব সাদিক বিন সেলিম, পরিচালক ১। মোঃ মমিন, সভাপতি
২। জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম, এজিএম কমপ্লাএন্স ২। মোঃ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক
৩। জনাব মোঃ কামরুজ্জমান চৌধুরী
     ব্যবস্থাপক (এইচ আর, এডমিন)
সালিস এর নাম ও স্বাক্ষর
(মোঃ সাইকুল ইসলাম)
উপ-শ্রম পরিচালক
বিভাগীয় শ্রম দপ্তর, ঢাকা